নেপালের কাঠমান্ডুর দশরথে সাবিনা খাতুনরা ৩-১ গোলে জিতে সাফের শিরোপা ছুঁয়েছিলেন। এর সাত দিন পরেই দেখা গেল উল্টো চিত্র। নেপাল পুরুষ দল জামাল ভূঁইয়াদের হারিয়েছে একই স্কোরলাইনে। এই জয়ের মাধ্যমে নেপাল মধুর প্রতিশোধও নিল বৈকি!
কাঠমান্ডুর দশরথ রঙ্গশালা স্টেডিয়ামে আজ বাংলাদেশ সময় পৌনে ৬টায় শুরু হয় ম্যাচটি। প্রথমার্ধেই ৩-০ গোলে পিছিয়ে পড়ে বাংলাদেশ দল। দ্বিতীয়ার্ধে নেপালকে আর গোল দেয়ার সুযোগ দেয়নি জামাল ভূঁইয়ারা। একের পর এক আক্রমণ, পাল্টা আক্রমণে একটিমাত্র গোল আদায় করে নিতে পেরেছে বাংলাদেশ।
কম্বোডিয়াকে ১-০ গোলে হারিয়ে আসার সুখস্মৃতিকে অনুপ্রেরণা নিয়েই নেপালের বিপক্ষে মাঠে নামে বাংলাদেশের ফুটবলাররা। তবে নারীদের সাফ জয় এবং সেই একই মাঠে নেপালের মুখোমুখি হওয়াতে জামাল ভূঁইয়ারা কিছুটা চাপে ছিল বৈকি!
সেই চাপ কাটিয়ে উঠতে ব্যর্থ হলেন বাংলাদেশ দলের ফুটবলাররা। বরং, একা এক অঞ্জন ভিস্তাকে আটকাতেই ব্যর্থ হলো বাংলাদেশের ডিফেন্স লাইন। একাই তিন গোল করে হ্যাটট্রিক করেছেন ১৪ নম্বর জার্সিধারী অঞ্জন।
প্রথম গোলটি আসে ১৮তম মিনিটে। বক্সের ডান পাশে ফ্রি-কিক পেয়ে যায় নেপাল। কিক নেন ১০ নম্বর জার্সিধারী ফুটবলার। তার কিক থেকে ভেসে আসা বল পোস্টের মুখে জটলায় চলে আসে। সেখান থেকেই দুর্দান্ত হেডে বাংলাদেশের জালে বল জাড়িয়ে দেন ভিস্তা।
২৭তম মিনিটে দ্বিতীয় গোল করে নেপাল। এবারও গোল করেন ১৪ নম্বর জার্সিধারী অঞ্জন ভিস্তা। প্রথমে নেপালের এক ফুটবলারের শট ফিরিয়ে দেন বাংলাদেশের গোলরক্ষক আনিসুর রহমান জিকো। কিন্তু ফিরতি বলটিই পেয়ে যান অঞ্জন এবং বাম পাশ থেকে মাটি কামড়ানো শটে জড়িয়ে দেন বাংলাদেশের জালে।
৩৮তম মিনিটে তৃতীয় গোল করে নেপাল। এই গোল করে নিজের হ্যাটট্রিক পূরণ করেন অঞ্জন ভিস্তা। বাম পাশে ফ্রি-কিক পায় নেপাল। কিক থেকে ভেসে আসা বলে আলতো করে মাথা ছুঁইয়ে বাংলাদেশের জালে বল জড়ান তিনি।
প্রথমার্ধ শেষ হয় ৩-০ গোলে। দ্বিতীয়ার্ধ শুরুর পর বাংলাদেশ গোল পরিশোধে মরিয়া হয়ে ওঠে। ৫৫ মিনিটে কাউন্টার অ্যাটাকে গোল পেয়ে যায় জামাল ভূঁইয়ারা। প্রায় নিজেদের বক্স থেকে বল করে নেয় বাংলাদেশ। মাঝ মাঠে বল পান রাকিব হোসেন। ডান পাশ ধরে তিনি একাই সেটি নিয়ে যান নেপালের পোস্টের কাছে। ডান পাশ থেকে গোললাইন বরাবর ক্রস করেন তিনি।
সেখানে এগিয়ে এসেছিলেন সাজ্জাদ হোসেন। অনেকটা ডাইভ দিয়েই বলে হেড করেছেন সাজ্জাদ। বল তো নেপালের জালে জড়িয়েছেই, সাজ্জাদও গিয়ে আশ্রয় নেন নেপালের গোলপোস্টের ভেতরে।
খেলার বাকি অংশে বেশ কিছু আক্রমণ সাজিয়েও লাভ হলো না বাংলাদেশের। বরং, জামাল ভূঁইয়াদের একের পর এক প্রচেষ্টা এসে বাধা পড়তে থাকে নেপাল গোলরক্ষক কিরণ কুমার লিম্বু। শেষ পর্যন্ত ৩-১ গোলেই শেষ হলো ম্যাচ।